বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১২

ঘোর অনিশ্চয়তায় যাত্রা



॥ ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী ॥

শেখ হাসিনার লগি-বৈঠা আন্দোলনের ফসল হিসেবে যখন এ দেশে মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীন গং রাষ্ট্রমতা দখল করে নেয়, তখন লিখেছিলাম বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘোর দুর্দিন আর কখনো আসেনি। বাংলাদেশের অস্তিত্ব এতটা বিপন্ন আর কখনো হয়নি। বহু লেখায় সে সম্পর্কে পাঠককে অবহিত করার চেষ্টা করেছিলাম। ওই অসাংবিধানিক সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিবাদ উচ্চকিত করে তোলার চেষ্টা করেছিলাম। আওয়ামী লীগ যখন ওই সরকারকে দুই হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাল এবং শেখ হাসিনা ঘোষণা করলেন যে, ওই সরকার বিএনপিকে শায়েস্তা করে দিক। ভবিষ্যতে তাদের এসব কর্মকাণ্ডকে আওয়ামী লীগ সাংবিধানিক বৈধতা দেবে। তখন প্রমাদ গুনেছিলাম।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি (১/১১) সরকার মতাসীন হওয়ার পরই বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যাপক সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করতে শুরু করে। তাতেও আওয়ামী লীগ খুব বগল বাজিয়েছে। সোৎসাহে অবিরাম বলে গেছে, বিএনপির লোকেরা ল কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হোক। মইন-ফকরের সরকার শুরুও করেছিল তাই। হাজারে হাজারে বিএনপির নেতাকর্মীকে নির্যাতন ও গ্রেফতার করে কারাবন্দী করছিল। আদালত থেকে জামিন পেয়ে, জেল থেকে কেউ বেরিয়ে আসতে নিলেই জেলগেটেই আবার নতুন মামলা দায়ের করে জেলে পোরা হচ্ছিল।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার উৎসাহ তাতে বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছিল। ওই অসাংবিধানিক সরকারকে মতায় আনার পেছনে ষড়যন্ত্র করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসঙ্ঘ ও তাদের বশংবদ অন্য সব সংস্থা। এরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও গণতন্ত্র পূজারী এরা নয়। নিজেদের স্বার্থে স্বৈরশাসন, সামরিক শাসন সবই তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। ফলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তখনো এ দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদায় অসাংবিধানিক প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদ। মতায় আসীন হওয়ার কিছুকাল পরই ভারত সফরে গিয়েছিলেন তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান স্বঘোষিত জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। ভারত সরকার তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাগত জানিয়েছিল। তারা ঘোষণা করেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের জন্য এত বড় বন্ধু তারা কোনো দিন পাননি। 
এতে জনবিচ্ছিন্ন ব্যাঙ-মইন ফুলে হাতি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। জনমত সম্পর্কে তার বিন্দুমাত্র ধারণাও ছিল না। এ রকম চেষ্টার ফলে তার পেটটা যে ফটাশ করে ফুটে তিনি অক্কা পেতে পারেন এ ধারণাও তার কখনো হয়নি। আর মতার স্বাদ পেয়েই এই মতা চিরস্থায়ী করার একটা সাধ তার মনে উপ্ত হয়ে উঠেছিল। তার সামান্য বুদ্ধিতে তিনি বুঝেছিলেন, মতায় যদি স্থায়ীভাবে থাকতে হয়, তাহলে রাজনীতিকদের নির্মূল করে ফেলতে হবে। আর তাই শুধু বিএনপি নয়, তার খড়গ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও উত্তোলিত হতে থাকে। সেটি কতটা লোকদেখানো ছিল কিংবা তার পেছনে কতটা লোভ ছিল অথবা আওয়ামী লীগের সাথে কী আয়োজন ছিল; সেটি বলতে পারি না। কিন্তু আমরা ল করেছি, বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি শেখ হাসিনা যে কত বড় দুর্নীতিবাজ সেটি প্রমাণ করার জন্য নানা জবরদস্তিমূলক আয়োজন তিনি করে যেতে থাকেন।
আওয়ামী লীগের হত্যা আর সন্ত্রাসের রাজনীতি দেশকে এমন অচল অবস্থার দিকে নিয়ে গিয়েছিল যে, জেনারেল মইন গংয়ের আগমনে প্রাথমিকভাবে মানুষ খানিকটা স্বস্তিবোধ করেছিল। কিন্তু অচিরেই জনগণ টের পেল যে, রাষ্ট্রপরিচালনায় তারা সর্বৈব ব্যর্থ। দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকল হু হু করে। ভারতের অসঙ্গত দাবির কাছে নতি স্বীকার করলেন জেনারেল মইন। এ দেশের স্বার্থ কিংবা সার্বভৌমত্ব, কোনোটির প্রতি তিনি মোটেই শ্রদ্ধাশীল নন। উপরন্তু রাজনীতিবিদদের শায়েস্তা করার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যদের যখন সেনানিবাস থেকে বাইরে বের করে আনল, তখন সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায় থেকে সাধারণ সিপাই পর্যন্ত অতি সাধারণ মানুষের ওপরও জোর-জুলুম-নির্যাতন শুরু করে দিলো। এক লাখ বন্দুক দিয়ে যে ১৫ কোটি ুব্ধ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, এটি উপলব্ধি করার মতা নির্বোধ মইনের ছিল না। 
অন্যান্য দেশের সামরিক শাসকেরা যা করে থাকে, জেনারেল মইন তার কোনো ব্যতিক্রম ছিলেন না। তিনি নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. ইউনূসকে দিয়ে তার অনুকূলে ‘সৎ মানুষের’ একটি রাজনৈতিক দল নাগরিক শক্তি গঠন করার চেষ্টা করলেন। এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের মদদ ছিল না, এমন দাবি করা যাবে না। বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাসহ উভয় দলের রাজনৈতিক নেতারা কারাবন্দী। এ সুযোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হয়তো সম্ভব হতে পারে। কিন্তু ড. ইউনূসও জানতেন না যে, এ এক অসম্ভব প্রচেষ্টা। তার হয়তো ধারণা ছিল, গ্রামীণ ব্যাংকের সব সদস্য, সব ঋণগ্রহীতা ঝাঁকে ঝাঁকে তার দলে ছুটে আসবেন। 
কিন্তু সেটি হয়নি। দেখা গেল, যারা তার ঋণগ্রহীতা তারা সবাই বিএনপি বা আওয়ামী লীগের সমর্থক। ঋণ গ্রহণের দায়ে সে সমর্থন তারা কেউই পরিত্যাগ করতে চাইলেন না। বরং ই-মেইলে ও অন্যান্য মোবাইল বার্তায় সব মানুষ ড. ইউনূসকে এই অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাতে থাকেন। আশা একেবারেই ীণ দেখে ড. ইউনূস রণে ভঙ্গ দিলেন। হলো না তার রাজনৈতিক দল গঠন। তখন জেনারেল মইন নানা উপায় খুঁজতে শুরু করলেন। রাজনৈতিক দলগুলোর ঊর্ধ্বে নিজের মতা ধরে রাখার নানা কৌশলের কথা সময় সময় ঘোষণা করতে থাকে।
কিন্তু রাষ্ট্রপরিচালনায় তার ব্যর্থতায় অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সারা দেশের মানুষ ুব্ধ হয়ে উঠতে থাকল। তা ছাড়া সামরিক বাহিনীর একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও সদস্যের নির্যাতনের প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠল দেশবাসী। স্বপ্নভঙ্গ হতে থাকল জেনারেল মইনেরও। আর যারা তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মতায় বসিয়েছিল, তারা বিবেচনা করে দেখল যে, একে দিয়ে হবে না। ভিন্ন কাউকে দরকার। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী শোষণের ধারা যেন অব্যাহত থাকে, সেটিও তারা নিশ্চিত করতে চাইল। মইনের ভাগ্য বিপর্যয় শুরু হলো। 
তবে তার পালানোর পথ কী? নিরাপদ প্রস্থান তো দরকার। সে েেত্র কোনো রাজনৈতিক দলের সহায়তা তাদের জন্য প্রয়োজন। দেশপ্রেমিক দল হিসেবে বিএনপির সাথে সে গাঁটছড়া যে বাঁধা যাবে না, সেটি মইনের প্রভুরা ও মইন নিজেও জানতেন। ফলে আবারো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র জোরদার হয়ে উঠল। কোনো একটা লোকদেখানো নির্বাচনের মাধ্যমে যদি শেখ হাসিনাকে মতায় নিয়ে আসা যায়, তাহলে সাম্রাজ্যবাদী শাসন যেমন অটুট রাখা সম্ভব, আধিপত্যবাদীদের স্বার্থ যেমন নির্বিঘœ রাখা সম্ভব, তেমনি সেবাদাস জেনারেল মইন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে। ফলে ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী লীগের সাথে গাঁটছড়া বাঁধল।
সেই নির্বাচনে ছলে-বলে-কলে-কৌশলে মইনের লুটেরা সহযোগীরা আওয়ামী লীগকে জিতিয়ে আনার কৌশল নির্ধারণ করল। তাতে গোটা সেনাবাহিনী সহযোগিতা করল, কার্যত ভবিষ্যতে নিজেদের সুরার জন্য। আমরা শঙ্কিত ছিলাম। কিন্তু আমি গণক নই। ফলে তৎণাৎ এ কথা বলতে পারিনি যে, বাংলাদেশের জন্য আরো ভয়াবহ দুঃসময় অপেমাণ। সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তির সেনাবাহিনী ও নির্বাচন কমিশন মিলে দেশে এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করল যে, বিএনপি ও সমমনা দলের লোকেরা যাতে নির্বাচনী বুথের কাছাকাছি না আসতে পারে। ফলে ব্যাপক জাল ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতিয়ে আনা হলো। ভোট কারচুপি আর জাল ভোটের েেত্রও এরা মিলে বাংলাদেশে এক ইতিহাস সৃষ্টি করল। কোথাও কোথাও ভোট পড়েছে ১০০ ভাগ। এমনকি ১০০ ভাগ ছাড়িয়ে ১০-১৫ ভাগ বেশি। সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে এভাবেই বিএনপিকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার যাত্রার সূচনা।
আওয়ামী লীগ মতায় আসীন হওয়ার পরপরই উপলব্ধি করা গেল যে, কী এজেন্ডা নিয়ে এ আয়োজন সম্পন্ন করা হলো। সংবিধান তছনছ করে ফেলা হলো। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ দলীয়করণ করে ফেলা হলো। প্রশাসন নির্লজ্জ দলীয়করণে অযোগ্য লোকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ল। আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনা ও তার দলের লোকদের নামে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হলো। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া ও তার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা তো বহাল রইলই; এরপর আওয়ামী লীগ সরকার নিজেরা আবার নতুন করে একের পর এক মামলা দায়ের শুরু করল। ভারত অর্ধশতাব্দী ধরে ট্রানজিট করিডোরের যে আবদার জানিয়ে আসছিল, গোপন চুক্তির মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেল। এ চুক্তির বিষয়বস্তু সাধারণ মানুষ এমনকি সংসদ সদস্যদেরও জানার অধিকার রহিত করা হলো। 
এখন নাৎসি কায়দায় ক্রসফায়ার, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম পরিচালনা করছে সরকার। যে যাকে যেখানে খুশি খুন করছে কিংবা গুম করে ফেলছে। পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় ভাসে লাশ। কৃষি েেত অচেনা মানুষের লাশ পড়ে থাকে। নারী-শিশু-বৃদ্ধ-যুবক কেউ এই হত্যার উৎসব থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন না। আর প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে শত শত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে মন্ত্রীরা সংবর্ধনা জানাচ্ছেন। তারা আবারো হত্যার উৎসবে মেতে উঠছে। বিরোধী দল নির্মূলে এমন কোনো হীন পদ্ধতি নেই যা সরকার ব্যবহার করছে না। গুমের ঘটনা অহরহ ঘটছে। সিটি করপোরেশনের কমিশনার চৌধুরী আলম গুম হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের গুমের ঘটনা শুরু হয়েছে। গ্রামগঞ্জে বহু ছাত্র, কৃষক, রাজনৈতিক কর্মীকে র‌্যাব বা অন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে হাওয়া করে দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে ১৭ এপ্রিল। গুম হয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, দু’বার নির্বাচিত এমপি এম ইলিয়াস আলী। পুলিশের একজন এসআই, একজন নাইটগার্ড, একজন ডাব বিক্রেতাসহ আরো অনেকেই তাকে অপহরণের দৃশ্যটি দেখেছেন। র‌্যাব পরিচয়ে তাকে ও তার গাড়িচালককে অপহরণ করা হয়েছে। এখন সেসব প্রত্যদর্শীর কাউকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার এর দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। 
পৃথিবীর সব দেশেই স্বৈরশাসকেরা মতার মদমত্ততায় জনগণের শক্তির কথা ভুলে যায়। কিন্তু ইতিহাসের স্যা হচ্ছে পৃথিবীতে কোনো স্বৈরশাসকের শাসনই চিরস্থায়ী হয়নি। তাদের করুণ পরিণতি হয়েছে। কোনো পরাশক্তি শেষ পর্যন্ত তাদের রা করতে পারেনি। সাম্প্রতিক বিশ্বে তার উদাহরণ ইরাক-লিবিয়া-মিসর। মিসরের একনায়ক হোসনি মোবারকের প্রতি সব পশ্চিমা প্রভু সমর্থন জুগিয়েছিল। কিন্তু জনতার প্রতিরোধে সে শাসন, সে নির্যাতন নৃশংসতার অবসান ঘটেছে। তারা এখন কারাবন্দী। এমনকি শেখ হাসিনার পূর্বসূরি স্বৈরশাসক জেনারেল মইনকে মতা ছাড়তে হয়েছে। 
বাংলাদেশের এখন ঘোর দুর্দিন। সরকারের নির্যাতন, নিপীড়ন সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে কত কী করছে সরকার। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এখন অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা যেন আদালতে জামিন আবেদন না করতে পারেন, সে জন্য আদালতে যুদ্ধেেত্রর মতো নিñিদ্র প্রহরা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবু এ কথা বোধ করি নিঃসংশয়ে বলা যায় যে, এ দিয়ে বর্তমান সরকারের শেষ রা হবে না। আর এই ধারা অব্যাহত থাকলে তাদের পরিণতি অন্য সব স্বৈরশাসকের মতো করুণ হতে বাধ্য। 
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন