শুক্রবার, ১৮ মে, ২০১২

সুরঞ্জিতের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র

সুরঞ্জিতের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র



॥ ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী ॥

নিজের গঠিত তদন্ত কমিটি সাবেক রেলমন্ত্রী ও বর্তমানে উজিরে খামাখা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে অর্থ কেলেঙ্কারির দায় থেকে রেহাই দিয়েছে। গত ৯ এপ্রিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাড়ির দিকে ৭০ লাখ টাকা মতান্তরে চার কোটি ৭০ লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন মন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক। গাড়িতে আরো ছিলেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জিএম ইউসুফ আলী মৃধা ও নিরাপত্তা প্রধান কমান্ড্যান্ট এনামুল হক। গাড়িচালক আজম খান মন্ত্রীর বাসভবনের অদূরে গাড়িটি জিগাতলার বিজিবি সদর দফতরের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে জানান, এই গাড়িতে বিপুল অঙ্কের অবৈধ টাকা আছে। বিজিবি গাড়িটি আটক করে। পরে এর সত্যতা উদ্ঘাটন করে। তারপর ওই তিনজনকে আটকে রেখে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে।
অবৈধ টাকাসহ কাউকে আটক করার এখতিয়ার সম্ভবত বিজিবির নেই। সে েেত্র সঙ্গত ছিল বিজিবির সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেয়া এবং টাকাসহ ওই তিনজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তারা তা করেননি বা করতে পারেননি। তখন পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যে, রাতে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত নিজেই বিজিবির সদর দফতরে যান এবং বিজিবি ও থানা পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে দেনদরবার করেন। পরদিন সকালে টাকাসহ গাড়িটিসহ আটক তিনজনকে বিজিবি ছেড়ে দেয়। এর এক দিন পরে সুরঞ্জিতের এপিএস ওমর ফারুক নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রভাব খাটিয়ে ৭০ লাখ টাকা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেন। খবরে জানা যায়, রেলের সাড়ে সাত হাজার নতুন লোক নিয়োগে প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেয়া হয়। সেই টাকা ভাগবাটোয়ারায় সুরঞ্জিতের অংশ তার ঝিগাতলার বাসায় পৌঁছে দিতে ওই তিন কর্মকর্তা রওনা হয়েছিলেন। 
এ ঘটনা মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়ে পড়লে পরদিন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নানা আবোল-তাবোল বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, এপিএসের আমার বাসায় আসার কোনো কারণই নেই। তিনি নাকি ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে যান। অথচ এনামুল ও মৃধা বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তার এপিএসকে আটক হওয়ার আগ পর্যন্ত ঘন ঘন ফোন করেন। আর এপিএস তার অবস্থান জানাচ্ছিলেন। এপিএসের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা সম্পর্কে সুরঞ্জিত বলেন, কারো তো এমন টাকা থাকতেই পারে। তাতে দোষের কী? এপিএস ওমর ফারুক প্রথমে বলেছিলেন, কী এক অনুষ্ঠান উপলে তার শ্যালক তাকে ২০ লাখ টাকা পাঠিয়েছে। তার পরেও প্রশ্ন থাকে, বাকি ৫০ লাখ টাকার উৎস কোথায়? আবার পত্রিকাগুলো অনুসন্ধান করেও ওই শ্যালক সম্পর্কে আর কিছু জানতে পারেনি। তারপর নিজ গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা নিয়ে কোন পাগল ঘোরাফেরা করবে! সে েেত্র এটা খুব সঙ্গত ছিল যে, এপিএস সাহেব পুলিশের পাহারা চাইবেন। কিন্তু তা না চেয়ে পাহারাদার হিসেবে রেলের জিএম ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে সাথে নিলেন কেন? এপিএস যে গাড়িতে যাচ্ছিলেন, সে গাড়িতে জাতীয় সংসদের স্টিকার লাগানো ছিল। রেলঘটিত নিয়োগবাণিজ্যের কোনো ব্যাপার যদি না-ই থাকবে, তাহলে রেলের জিএম মৃধা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা কেন তার সঙ্গী হলেন?
পরদিন মিডিয়ার ওপর একহাত নিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বললেন, ব্যাপারটা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। তা না হলে ঘটনা ঘটার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মিডিয়া কেমন করে ক্যামেরা-মাইক্রোফোন নিয়ে হাজির হলো। এর ভেতরে ষড়যন্ত্র আছে। ভাবখানা এমন যে, না হয় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস, রেলের পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিপুল অঙ্কের টাকাসহ বিজিবি গেটে আটক হয়েছেনই, তাই বলে মিডিয়া তা প্রচার করে দিবে? তিনি এ-ও বলেছেন, মিডিয়া ভারি নিষ্ঠুর। অথচ হুঁশে থাকলে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এই প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের জন্য মিডিয়ার প্রশংসা করা উচিত ছিল। শ্রী সেনগুপ্তের ধারণা নেই যে, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট উভয় মিডিয়াই ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে কাজ করে। সম্ভবত তার এ ধারণাও নেই যে, প্রত্যেক মিডিয়ায় ইমার্জেন্সি সেল আছে। এ রকম যেকোনো ঘটনা হলে সেখানে ছুটে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। উপরন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তারা পরস্পরকে সহযোগিতা করে থাকেন। কখনো কখনো ঘটনার গুরুত্ব বুঝলে এক মিডিয়া অন্য মিডিয়াকে সহযোগিতা করে। ঘটনাটি জানায়। তখন তারাও ছুটে আসে। এখন পথচারীরাও এ রকম কোনো দৃশ্য দেখলে মিডিয়ায় ফোন করে জানায়। এসব বাজে ব্যাপার সুরঞ্জিত বাবুর মনঃপূত হয়নি। তার এই বিরক্তিতেও প্রমাণিত হয়েছে, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। কিছু একটা ব্যাপার এতে আছে। তিনি তো সাফাই গেয়েছিলেন, ওই টাকা তার এপিএসেরই। এর দায়দায়িত্ব তার নয়। তাহলে মিডিয়ার ওপর তিনি এত বিরক্ত হয়ে উঠলেন কেন? 
এ ঘটনার পর সারা দেশে ছিছি-ঢিঢি রব পড়ে যায়। অন্য মন্ত্রীরাও লজ্জায় অধোবদন হয়েছিলেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বিদেশে ছিলেন। সফর শেষে ঢাকায় ফিরে এ ঘটনায় নিশ্চয় তিনি ুব্ধ হয়েছিলেন। বিএনপির লোকেদের এত দিন ধরে বিনা প্রমাণে ‘চোর চোর মহাচোর’ বলে গালি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সেখানে সুরঞ্জিত বাবুর এপিএস বিরাট অঙ্কের টাকাসহ গ্রেফতার হওয়ায় তিনি বিব্রত হয়েও থাকতে পারেন। ফলে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে পদত্যাগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন, প্রধানমন্ত্রী তাতে সদয় সম্মতি দেন। এরপর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৬ এপ্রিল পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে গাড়ি থেকে মন্ত্রীর পতাকা খুলে বাসায় চলে যান। কিন্তু রহস্যময় ব্যাপার হলো এইÑ তার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কেন আবার দফতরবিহীন মন্ত্রী বানালেন? 
এ রহস্য খুব জটিল নয়। এ দেশের ঘটনা পরম্পরা ল করলেই এর একটা কিনারা পাওয়া যাবে। এবারের আগেরবার যখন ভারতের বর্তমান অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে তিনি আধাঘণ্টা কথা বলে বিদায় নিয়েছিলেন। কিন্তু সুরঞ্জিত-রাজ্জাক-তোফায়েল-আমুর সাথে তিনি একান্তে দেড় ঘণ্টা কথা বলে গিয়েছিলেন। সে বৈঠকও সম্ভবত শেখ হাসিনার জন্য একটি বার্তা বহন করছিল। তবে কি মুখে যতই চুনকালি পড়–ক, সরকার এ রকম একটি অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে স্বাধীন নয়? 
এই টাকার বস্তার ঘটনা তদন্তে মন্ত্রী তার অধীনস্থ দুই কর্মকর্তাকে দিয়ে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তখনই বোঝা গিয়েছিল, এ তদন্তের ফলাফল লবগণ্ড হবে। তার একটি কমিটির প্রধান ছিলেন রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের ও সাথে ছিলেন যুগ্ম সচিব শশীকুমার সিংহ। এই কমিটি এপিএসের গাড়িতে পাওয়া ওই টাকার বস্তার সাথে মন্ত্রীর কোনো সংশ্লিষ্টতা পায়নি। ফলে তিনি কুল্লেখালাস। সাফ্ফান সাফ্ফা। তিনি এবার নিজেই গর্ব করে বলতে পারেন, সুরঞ্জিতের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র। 
এই তদন্ত ও তদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে বিশিষ্টজনেরা বলেন, এই তদন্ত কমিটি অর্থহীন ও মতাহীন। মন্ত্রীর অধীনস্থ কর্মকর্তারা মন্ত্রীর দুর্নীতি তদন্তের এখতিয়ারই রাখেন না। তদন্ত কমিটির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন্সে মন্ত্রী দুর্নীতি করেছেন কি না কিংবা মন্ত্রীর বিষয়ে কোনো কিছুর তদন্ত করার এখতিয়ার ছিল না। তাহলে তদন্ত কমিটি কোন বিবেচনায় বলে বসল যে, ওই টাকার সাথে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কোনো সম্পর্ক নেই। যা হওয়ার কথা ছিল, তাই হয়েছে। তদন্ত যা-ই হোক, মন্ত্রীর চরিত্র ফুলের মতো পবিত্রÑ এটা বলা ছাড়া কমিটির আর কী-ই বা গত্যন্তর ছিল। এরও বা কিছুটা সুরাহা হতে পারত। কিন্তু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আবার যখন দফতরহীনভাবে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন, তখন নিশ্চয় তদন্ত কর্মকর্তারা সতর্ক হয়ে যান। আজ দফতরবিহীন আছেন, কাল যে আবার রেলওয়েরই মন্ত্রী হবেন না, এমন তো কোনো কথা নেই। আর ঘটনাও তাই। ওই অর্থহীন তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেয়ার পর মন্ত্রী আবার গণমাধ্যমের সামনে এসে হাজির হন এবং পুনরায় রেলমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। 
এর সব কিছু একেবারেই লোকদেখানো এবং গোঁজামিল মাত্র। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত। তিনি যেহেতু মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, যেহেতু সাংবিধানিকভাবে মন্ত্রিসভা সংসদের কাছে দায়বদ্ধ, তাই বর্তমান পদে তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদের অধীনে সংসদের প থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা জরুরি। দ্বিতীয়ত, তিনি একজন সংসদ সদস্য। তার আচরণের কারণে সংসদ অবমাননা বা সংসদের সুনাম ও মর্যাদা ুণœ হয়েছে কি না তা তদন্তে আরেকটি কমিটি গঠন করা দরকার। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান বলেন, রেলওয়ের তদন্ত কমিটি ও প্রতিবেদন নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। প্রথমত, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্ত্রী থাকাবস্থায় তার অধীন রেলওয়ের মহাপরিচালক মো: আবু তাহের ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শশীকুমার সিংহকে দিয়ে এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। মন্ত্রীর অধীনে চাকরি করা কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছেন কিনা? দ্বিতীয়ত, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগের পর অসাংবিধানিকভাবে তাকে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তারা কতটুকু নিরপেভাবে তদন্ত করতে পেরেছেন। তৃতীয়ত, ঘটনার রাতে তার এপিএস ওমর ফারুক, রেলওয়ের কর্মকর্তা ইউসুফ আলী মৃধা ও নিরাপত্তাকর্মী কমান্ড্যান্ট এনামুল হক অনেক টাকাসহ মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কেন তারা যাচ্ছিলেন সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। চতুর্থত, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও ঘটনার সাথে জড়িতদের মোবাইল কললিস্ট পরীা করা হয়েছে কি না। এপিএস ও রেল কর্মকর্তারা বাসায় যাওয়ার আগে সুরঞ্জিতের সাথে কতবার কথা বলেন, বিজিবি থেকে তাদের ছাড়িয়ে আনতে মন্ত্রী কতবার কতজনের সাথে যোগাযোগ করেনÑ তা তদন্ত করা হয়েছিল কি না। পঞ্চমত, বিজিবি তাদের কেন ছেড়ে দিলো এবং সর্বশেষ কথা হলোÑ গাড়িচালকের বক্তব্য ছাড়াই রিপোর্টটি তৈরি করা হয়। এত সব কারণে তদন্ত কমিটি ও প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এসব প্রশ্ন সঙ্গত। এগুলোর কিনারা হলো না। তারপরও যদি জানা যেত, সামান্য এক এপিএস এত টাকা কোথায় পেল, তাহলেও তদন্তটি কোনো একটা অর্থবহন করতে পারত। সেটিও হলো না। দেশের সাধারণ মানুষ জানতে চায় এপিএসের এত নগদ টাকার উৎস কী? এই টাকাসহ তার গাড়িতে কেন মৃধা বা এনামুল উপস্থিত ছিলেন। তার ওপর যে সাধারণ মানুষ গাড়িচালক তার কোনো ভাষ্যও পাওয়া গেল না। ঘটনার পরদিন থেকেই গাড়িচালক আজম খান গায়েব হয়ে গেলেন। তার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায়; আজ এখানে তো কাল সেখানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রধান ও সম্ভবত নিরপে সাী বলে তাকে কি গুম করে ফেলা হয়েছে? তাকে আর খুঁজে না পাওয়াও সুরঞ্জিতের টাকার বস্তার রহস্য উন্মোচনে প্রধান অন্তরায়। এর পরও গত ১৬ মে এক মাস হাইবারনেশনে (সাপ বা ঠাণ্ডা রক্তের প্রাণীর শীতনিদ্রা) থাকার পর মিডিয়ার সামনে ফিরে সুবোধ সুরঞ্জিত দাবি করলেন, রেলের ইতিহাসে এত বড় নিরপে তদন্ত কমিটি আর কোনো দিন গঠিত হয়নি। সেই কমিটির রায়ে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। অতএব, প্রধানমন্ত্রী চাইলে তাকে আবার রেল মন্ত্রণালয় দিতে পারেন। আর তিনি নতুন উদ্যোমে চালিয়ে যেতে পারেন পুরনো কাজ। সাবাস সুরঞ্জিত! 
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন